গোপাল দেবনাথ : বিশ্বজুড়ে বাঙালির অতিপ্রিয় উৎসব দুর্গোৎসব। বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের মানুষ স্বীকার করেন বিশ্বজুড়ে এত বড় উৎসব কোন ধর্মাম্বলী মানুষের মধ্যে দেখা যায় না। এই বছর করোনা মহামারীর কারণে দুর্গোৎসব পালিত হলেও সর্বত্রই খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে পালিত হচ্ছে। এমন কি বাড়ির পুজোও সংক্ষিপ্তভাবে সারতে হচ্ছে আয়োজকদের। নিজেদের পরিবারের লোকজন ছাড়া বাইরের মানুষের সরকারি নিয়মে প্রবেশ নিষেধ হয়েছে। বেলেঘাটায় ২৩, নম্বর চাউল পট্টি রোডে দুর্গা মায়ের ভক্ত ৬৮ বছরের যুবক সুশান্ত সাহার আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম তাদের তিন পুরুষের পুজো মণ্ডপে। সুন্দর মূর্তি আয়োজন এবং আতিথেয়তা দেখে মন ভরে যায়। সুশান্ত বাবু বলেন আমাদের এই দুর্গা পূজার প্রচলন শতাব্দী প্রাচীন। বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ সাব ডিভিশনে আমার ঠাকুরদা প্রয়াত রাই চরণ সাহা এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। সেই পরম্পরা দীর্ঘদিন চলার পর ১৯৪৭ সালে দেশ যখন ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান হয়ে যায়, সেই সময় আমার প্রয়াত পিতা সুরেন্দ্রনাথ সাহা ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট কলকাতায় চলে আসেন। এবং সেই বছর থেকেই কলকাতায় আমাদের দুর্গাপুজোর আয়োজন খুবই জমকালো ভাবে শুরু হয়। এই পুজো কে কেন্দ্র করে আমাদের পুজোবাড়িতে বহু মানুষের সমাগম হতো। মাঝে বিশেষ কারণে কয়েকটা বছর পুজো বন্ধ করতে হয়। এর পরবর্তীকালে আমার সহধর্মিনী গৌরী সাহা স্বপ্নে দুর্গা মা কে দেখেন এবং সেই বছর ১৯৯৫ সাল থেকে টানা ভক্তি সহকারে দুর্গা মায়ের আরাধনা করে আসছে আমাদের পরিবার। এই বছর ২৬ তম বর্ষে পদার্পন করলো আমাদের এই পুজো। বহু মানুষ এই পুজোয় সামিল হয়ে প্রসাদ গ্রহণ করেন। এই বছর করোনা অতিমারীর বিধি নিষেধের জন্য সাধারণ মানুষের হাতে মায়ের প্রসাদ তুলে দিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এই পুজোয় উপস্থিত হয়েছিলেন ক্রীড়াবিদ ও বি জে পি নেত্রী জ্যোতির্ময়ী শিকদার।