✍️রামিজ আলি আহমেদ
ফের বলিউডে নক্ষত্র পতন।বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কুমকুম আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।সকাল ১১ টায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ষাটের দশকের এই অভিনেত্রী ১১৫টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘পিয়াসা’ (১৯৫৭),‘চার দিল চার রাহে’ (১৯৫৯),‘মাদার ইন্ডিয়া’(১৯৫৭),’সন অফ ইন্ডিয়া'(১৯৬২),’মিস্টার এক্স ইন বোম্বাই'(১৯৬৪),
‘কোহিনূর’(১৯৬০),‘উজালা’ (১৯৫৯),‘এক সাপেরা এক লুটেরা’, ‘নয়া দৌড়’,‘গীত’,‘আঁখে’(১৯৬৮),’শ্রীমান ফান্টুস’,,’এক সাপেরা এক লুটেরা’,’রাজু আউর রঙ্ক’,’এক কুওয়ারা এক কুওয়ারি’ প্রভৃতি ছবিতে।কিশোর কুমারের বিপরীতেও তাঁকে কাজ করতে দেখা যায়। ‘মেরে মেহবুব কেয়ামত হোগি’, ” ইয়ে হ্যায় মুম্বাই মেরি জান’, ‘মধুবন মে রাধিকা নাচে’,-র মতো বহু জনপ্রিয় গানে কুমকুমকে অভিনয় করতে দেখা যায়। দিলীপ কুমারের সঙ্গেও জুটি বেঁধে কাজ করেছেন তিনি। এই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ফের শোকাহত বলিউড।
হিন্দির পাশাপাশি বিহারের এই কন্যা কাজ করেছেন ভোজপুরী ছবিতেও। ‘সিইআইডি’ ছবির ‘বম্বে মেরি জান’ গানে জনি ওয়াকারের সঙ্গে কুমকুমের পারফর্ম্যান্স তাঁকে আজীবন অমর করে রাখবে হিন্দি ফিল্ম দুনিয়ায়। ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘এক কুওয়ারা, এক কুওয়ারি’ ছবিতেই শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপর বিয়ের পর্ব সেরে সংসারে মন দেন কুমকুম। কোনওরকম যোগাযোগ রাখেননি চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে।
টুইট বার্তায় তাঁর মৃত্যুর খবর জানান, নাসের খান।
চিত্রনাট্যকার-পরিচালক নাভেদ জাফরি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা আরেক রত্নকে হারালাম।আমি ছোট থেকেই তাঁকে চিনতাম,তিনি আমার পরিবারের সদস্যের মতোই, একজন চমৎকার শিল্পী এবং মানুষ হিসেবে ছিলেন অতুলনীয়।আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
১৯৩৪ সালের ২২ এপ্রিল বিহারের হুসাইনাবাদের নবাব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কুমকুম।জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল জেহবুন্নিসা।
কুমকুম গুরু দত্তের আবিস্কার।১৯৫৪ সালে গুরু দত্ত ‘আর পার’ নামের এক ছবি বানাচ্ছিলেন।ছবিতে একটি গানের জন্য তাঁর দরকার ছিল ভালো এক অভিনেত্রীর।সেই সময়েই গুরু দত্ত খুঁজে বের করেন কুমকুমকে।গুরু দত্তের হাত ধরে ১৯৫৪ সালে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। ‘আর পার’ সিনেমার ‘কাভি আর কাভি পার লাগা তেরি নজর’ গানটিতে ছিল তাঁর প্রথম অভিনয়।গানটি প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়।