আনন্দ সংবাদ লাইভ:বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৭১ বছর বয়সে বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান চলে গেলেন অমৃতলোকে। রাত্রি প্রায় ১.৫২টা নাগাদ মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত গুরুনানক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ১৭ জুন থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত রাতে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
১৯৭৪ সাল থেকে বলিউডের প্রায় ২০০০ গানের নাচে তিনি কোরিওগ্রাফি করেছেন।তিনি সরোজ খান। মাত্র ৩ বছর বয়সে তাঁর নাচের মঞ্চে অবতরণ। তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বহু বিখ্যাত গানের নাম।
সরোজ খানের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্বামী, ছেলে ও দুই মেয়ে। তাঁর ছোট মেয়ে সুকন্যা জানিয়েছেন, মায়ের করোনা টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে ঠান্ডা লেগে তাঁর ব্যাপক শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি তিনি চিকিৎসায় অনেকটাই সুস্থ বোধ করছিলেন। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা হচ্ছিল। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।
১৯৭৪ সালে “গীতা মেরা নাম” ছবিতে প্রথমবার স্বতন্ত্র ভাবে কোরিওগ্রাফি করার ডাক পান। নাচে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তিনি তিন বার জাতীয় পুরষ্কার পান।
তাঁর অসংখ্য জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির হাওয়া হাওয়াই, ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ ছবির এক দো তিন, ১৯৯২ সালে ‘বেটা’ ছবির দিল ধক ধক করণে লগা, ২০০২ সালে ‘দেবদাস’ ছবির ডোলারে ডোলারে ডোলা অন্যতম। ২০১৯ সালে তাঁর কোরিওগ্রাফিতে শেষ নাচটি করণ জোহরের ছবি ‘কলঙ্ক’-র ‘তবাহ হো গ্যায়ে’।নায়িকারা টি তাঁর কোরিওগ্রাফ করা নাচের নামেই বিখ্যাত হয়ে উঠেতেন।মাধুরী হয়ে গেলেন ধক ধক গার্ল,আর হাওয়া হাওয়াই বললেই শ্রীদেবী কথা মনে চলে আসে।
সরোজ খানের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।