সম্প্রতি আনন্দ সংবাদ লাইভ চ্যানেলে দেখেছি নৌশাদ মল্লিকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন সঞ্চালক পান্থ মল্লিক।এক সময়ের মেধাবী ছাত্র নৌশাদ মল্লিক এক ত্যাগী কম্যুনিস্ট পরিবারের সন্তান।পিতাও ছিলেন মেধাবী এবং ঐ গ্রামের প্রথম অনার্স গ্রাজুয়েট।কলকাতায় সিটি কলেজে পড়াকালীন পিতা রওশন আলী মল্লিক বামপন্থী সংগঠনে আসেন।আজীবন সংগঠনে থাকা রওশন আলী সংগঠনের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ভালোভাবে খাওয়ার সময় পর্যন্ত পান নি।তাঁদের বাইরের দলিজবাড়ীতে মিটিং হতো।কারণ তখন তো অন্যত্র পার্টি অফিস ছিল না।মা অন্দরমহলের বাড়ীতে রান্না করে তাঁর ছেলেমেয়েদের দিয়ে পাঠাতেন দূর থেকে মিটিং-এ আসা কমরেডদের জন্য।নৌশাদ মল্লিকের মাতাও ছিলেন মহিয়সী নারী।নৌশাদ মল্লিকের পড়াশুনার সাথে নজরুলগীতির চর্চা থাকলেও মিসা আইনে রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে ধনেখালী এলাকার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে মিছিল মিটিং করেছিলেন।
এইভাবে তিনি ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।উত্তরপাড়া রাজা প্যারীমোহন কলেজে বি.এস.সি. অনার্স পড়াকালীন অক্লান্ত পরিশ্রমে ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।পরে রাজ্যস্তর পর্যন্ত যেতে পেরেছেন নিজের কর্মদক্ষতার জন্য।কিন্তু পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো স্বার্থান্বেষী হৃদয়হীন এক কমরেডের নির্মমতার জন্য এই পার্টি পরিত্যাগ করে সাংবাদিকতায় মনোনিবেশ করেন।
পরিশ্রমী অক্লান্ত এই ব্যক্তি লেখালেখি এবং নিজের কাজকর্মের পাশাপাশি চীরকাল অসহায় গরিব নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকেছেন।সত্তরউর্ধ এই ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।তবুও মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভসে গরীব মানুষকে চাল,ডাল বিলি করেন কোনো সংস্থাকে সাথে নিয়ে।ধন্যবাদ জানাই আনন্দ সংবাদ লাইভ চ্যানেলের সম্পাদক পরোপকারী নৌশাদ মল্লিককে নিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য
ইতি
মহুয়া মোল্লা
আরামবাগ,হুগলী