নিজস্ব প্রতিবেদক (৩ জুলাই, ২০২১): দেশের অসহায় শিশুদের বিরাট একটা অংশ পথশিশু। তারা পথে জন্মেছে, পথে বসবাস করে এবং পথই তাদের একমাত্র ঠিকানা। তারা জানে না আলো-অন্ধকার, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য। এই আধুনিক যুগে জন্মগ্রহণ করলেও গুহায় বসবাস করা আদিম মানুষের জীবনমান থেকে তাদের জীবনমান উন্নত নয়। অনেক সময় ডাস্টবিনের পরিত্যক্ত খাবার তাদের ভাগ করে খেতে হয় কুকুরের সঙ্গে। তারা শিক্ষাবঞ্চিত। তারা ক্ষুধার্ত, অসহায়, রুগ্ন, নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত মানবসন্তান।
এবার স্বপ্নসাথী ফাউন্ডেশন দাড়ালো সেই সকল পথশিশুদের পাশে। নিজেরা করোনা পরিস্থিতিতে পুষ্টিকর খাবার খাবার সৌভাগ্য পেয়েছেন কিন্তু পথশিশুদের কি হবে? এই ভাবনা থেকেই হাবরা স্টেশনের পাশে মৌসুমি ফল বিতরন করেন সংস্থার কর্মীরা। প্রায় দু’শ পথশিশুদের মাঝে আম, আনারস, শসা, কলা, কেক, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরন করা হয়। এসময় সংস্থার তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ দাস, পলাশ, বিক্রম, অভিজিৎ, অর্নব, তিয়াশা, দুস্টু, শুভ, সৌহার্দ্য, ইঙ্গিত, শর্মী, শুভেচ্ছা, মিশান, অমিত।
স্বপ্নসাথী ফাউণ্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৌরভ দাস বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের চলমান জনসেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে আমরা এবার পথশিশুদের পাশে দাড়ালাম। আমরা নিয়মিত মৌসুমি ফলের স্বাদগ্রহন করে থাকলেও, যাদের দু’বেলা খাবার ঠিকমতো জোটে না তাদের জন্য আমাদের এই আয়োজন। এতে করে তারা যেমন মৌসুমি ফলের স্বাদ পাবে, পাশাপাশি তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরন হবে।” তিনি আরো জানান, “আমাদের সাধ্যমতে প্রতিনিয়ত কার্যক্রম চলতে থাকবে। জুলাই মাসে আমরা জঙ্গলমহলের ২০০ স্কুলের বাচ্চাদের নগদ টাকা, পোশাক, বই খাতা প্রদান করবো। আর খুব শীঘ্রই বেশকিছু গরীব স্কুল শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”
কিন্তু এসব কাজে আশানুরূপ অনুদান না পেলেও তাঁরা তাদের স্বপ্নে, তাদের লক্ষ্যে অবিচল। তাই এই কাজ তাঁরা চালিয়ে যাবে সেটা জানাতে ভুললেন না। সেই সঙ্গে তাদের আবেদন – সকলে নিজেদের সামর্থ্য মতো এগিয়ে আসুক, পাশে দাঁড়াক এই করোনা কালে জীবন জীবিকার সংকটে থাকা মানুষদের পাশে।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে স্বপ্নসাথী ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে হিঙ্গলগঞ্জ, মৌসুনী আইল্যান্ড, অশোকনগর ও গুমায় ইয়াস ঘূর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিতরন করা হয়।