Close

নাবিক নাট্যম-এর “মুসলমানির গল্প” নাট্যমোদীদের মুগ্ধ করে

✍️কেকা আইচ

গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের নতুন প্রযোজনা ” মুসলমানির গল্প” বর্তমান সময়ের একটি বলিষ্ঠ প্রযোজনা। সম্প্রতি এই নাটকটি তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চস্থ হলো।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই মূল্যবান গল্পটিকে কেন্দ্র করে একদল শিশু কিশোর শিল্পী সাথে নিয়ে নির্দেশক জীবন অধিকারী নাটকের মালা গেঁথেছেন সুনিপুণ দক্ষতায। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালের জুন মাসের ২৪ এবং ২৫ তারিখ মাত্র দুই দিনেই এই গল্পটি লিখে ফেলেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন প্রবল বেগে চলমান । গোটা ভারতবর্ষ তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের আন্দোলনটিও তখন তুঙ্গে । এই পরিস্থিতিতে ভারতের হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে কোন বিভেদ সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন মুসলমানির গল্প । এই গল্প আজও প্রাসঙ্গিক । দলগত অভিনয় এবং কোরিওগ্রাফ এই নাটককে জীবন্ত করে রেখেছে । এই নাটকের অভিনয় করেছেন রনি, ঋজু, রাজেশ, রুমকি, ঋষিতা, নীল, ঐশীনী, অনিরুদ্ধ, বর্ষা, ঈপ্সিতা, পাপিয়া এবং দাদাঠাকুর চরিত্রে অভিনয় করেছে অবিন দত্ত। আলো- অশোক বিশ্বাস, অপূর্ব আবহ সংগীত নির্মাণ করেছেন আস্তিক মজুমদার এবং প্রয়োগ করেছেন সুপর্ণা সাধুখাঁ , পোশাক- শ্রাবণী সাহা, রূপসজ্জায় শর্মিষ্ঠা সাধুখাঁ, নৃত্য পরিকল্পনা রাখি বিশ্বাস। নাচ গান আলো আবহ মিলেমিশে একটি মনোরম প্রযোজনা উপহার দিলেন গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যম। নির্দেশক জীবন অধিকারী জানান ধর্ম,জাত পাত নিয়ে শিশুদের মনে যাতে কোন কু -প্রভাব না পড়ে সেই প্রচেষ্টাতেই এই নাটক নির্মাণ। এই প্রযোজনা দেখে একজন দর্শক বলেন – ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যা অভিনয় করল, তাতে মনে হল আগামী প্রজন্মের কাছে থিয়েটারের শিল্পী এবং দর্শকের অভাব হবেনা।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top