Close

নাচ ও স্কুল শিক্ষকতা সমান তালে সামলাচ্ছেন দোলন

✍️By Ramiz Ali Ahmed

শিক্ষকতার পাশপাশি নাচটাও তিনি সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন।সঙ্গে সংসারের সমস্ত দ্বায়িত্বও তাকে সামলাতে হয় নিজ হাতে।তিনি দোলন চক্রবর্তী।দোলনের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা কলকাতার টালিগঞ্জে।রমেশ মিত্র গার্লস বিদ্যালয় থেকে স্কুলিং,আশুতোষ কলেজ থেকে ভূগোলে স্নাতক এরপর বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর।

মাত্র চার বছর বয়স থেকেই নাচের তালিম নিতে শুরু করেছিলেন দোলন।প্রথমে কত্থক তালিম নেন,এরপর মমতা শংকর-এর কাছে ক্রিয়েটিভ ড্যান্স তালিম,এরপর ওয়েস্টার্ন তালিম,এখন তিনি তালিম নিচ্ছেন আলোর পাখি গ্রূপে রুদ্র মিশ্রর কাছে।নিয়মিত মঞ্চে পারফর্ম করছেন সেমি ক্লাসিক্যাল ও ক্রিয়েটিভ।একসময় মডেলিংও করেছেন।

এরই মাঝে একদিন তিনি স্কুলের চাকরি নিয়ে চলে যান পুরুলিয়ায়।সেখানেও তিনি থেমে থাকেননি।স্কুলের চাকরির পাশাপাশি ওখানকার পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের তিনি নাচের তালিম দিতে শুরু করেন।এইভাবে তিনি সেই বাচ্চাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বীজ বপন করেন।

এখন তিনি কলকাতার একটি নামী সরকারি বিদ্যালয়ে ভূগোলের শিক্ষিকা।পাশপাশি নাচের পারফর্ম করে চলেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।আর সংসারের দ্বায়িত্ব তো আছেই।সাক্ষাৎকার পর্বে দোলনকে কথা প্রসঙ্গে জানালেন,”একটা সময় যখন পুরুলিয়ায় ছিলাম বিদ্যালয়ে চাকুরী সূত্রে,এরকমও হয়েছে কলকাতায় এসে শুটিং করে রাত্রের বাসে ফিরে গিয়ে পরের দিন স্কুল করেছি।তখন তো মেগা ধারাবাহিকে অভিনয় করতাম।সেই সময় বেশ কয়েকটা মেগায় ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয় করেছি।এখন সংসারে তো বেশ অনেকটা সময় দিতে হয়, বাচ্ছাও বেশ ছোট তাই শুধুমাত্র নাচটা নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছি।আসলে অনেক ছোট থেকে নাচ করছি তো তাই নাচ ছাড়া বাঁচতে পারবো না।ভবিষ্যতে নাচের একটা স্কুল করারও ইচ্ছে আছে।”

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top