✍️মোল্লা জসিমউদ্দিন
‘মশাটা বড্ড পাজী, কামড়ে দিল কুটুস।ফুলদানিতে জল পচেছে, নেইকো আমার হুঁশ’। সাম্প্রতিক সময়কালে ডেঙ্গু শুধু মহানগর কলকাতা নয় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে মারণ রুপ নিচ্ছে। তাই ডেঙ্গু মোকাবিলায় যেমন চিকিৎসাটা জরুরি, ঠিক তেমনি জনসচেতনতা বাড়ানো টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতার শিয়ালদহ সংলগ্ন ‘টাকী হাউস গভর্মেন্ট স্পনসর্ড গার্লস স্কুল(প্রাথমিক) ‘ কর্তৃপক্ষ ক্ষুদে পড়ুয়াদের নিয়ে শুক্রবার সকালে প্রায় দু কিমি জুড়ে জনসচেতনতা মূলক পদযাত্রার আয়োজন করলো।’মিশন নির্মল বিদ্যালয়’ অভিযান টি গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে।
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এই প্রচার কর্মসূচি শেষ হবে।তাই মধ্যিখানে ১৫ টা দিন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্মল স্কুল গড়তে তৎপর। এর মধ্যে ৫১০ জন পড়ুয়াদের ‘টাকী হাউস গভর্মেন্ট স্পনসর্ড গার্লস স্কুল(প্রাথমিক)’ এর উদ্যোগ একটু ব্যতিক্রমী বলা যায়। শুধু এই সরকারি কর্মসূচির মধ্যে পড়ুয়াদের ‘স্বচ্ছ’ প্রেমীর বার্তা দেওয়া নয়, বছরভর এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা থেকে অন্যান্য শিক্ষিকা সহ অন্যান্য মহিলা স্টাফরা অত্যন্ত তৎপর স্কুল কে নির্মলতায় রাখতে। প্রতিদিন স্কুলে ঢুকবার সময় হাতে স্যানিটাইজার প্রত্যেক পড়ুয়ার হাতে দেওয়া হয়। মুখে মাস্ক পড়া হয়েছে কিনা তাও দেখা হয়।প্রার্থনার সময় স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক গান পরিবেশন করা হয়। টিফিন টাইমে হাত ভালোমত ধোওয়ার নির্দেশ থাকে ক্ষুদে পড়ুয়াদের প্রতি। শুক্রবার সকালে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারশোর উপর ক্ষুদে পড়ুয়ারা নিজেদের হাতে গড়া প্রচারমূলক প্লাকার নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করে থাকে।
এদিন পদযাত্রায় পিপির মেয়েদের দেখার জন্য তৃতীয় /চতুর্থ শ্রেণির দিদিরা ছিলেন ‘অভিভাবকের’ মত।এদের কে দেখভালের জন্য প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্ত সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা ছিলেন।টাকী হাউস গভর্মেন্ট স্পনসর্ড গার্লস স্কুল(প্রাথমিক) এর প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্ত জানিয়েছেন – ” আমরা রাজাবাজারে মিড ডে মিলের ঘরের পরিচ্ছন্নতা দেখে এসেছি।তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীদের নিয়ে শিশু সংসদের প্রস্তুতি চলছে। স্কুল চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।স্বচ্ছতার উপর ছবি আঁকা এবং প্রবন্ধ লেখা হবে পড়ুয়াদের দিয়ে”।