✍️By Ramiz Ali Ahmed
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও এয়ার ফোর্স এফটি দলের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ১৩০তম ডুরান্ড কাপ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইনাল হবে ৩ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার ময়দানের ফোর্ট উইলিয়ামে ডুরান্ড কাপ নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ভারতীয় সেনা। সেখানেই তারা এই ঘোষণা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ,মনোজ তিওয়ারি।
এই বছর মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ডে অংশ নিতে পারছে না। উল্লেখ্য, ডুরান্ডের ইতিহাসে কলকাতার এই দুই দল ১৬ বার করে ডুরান্ড খেতাব জিতেছে।দুই দল অংশগ্রহণ না করলেও দেশের সেরা দলগুলি কিন্তু অংশ নিচ্ছে।
আগামী পাঁচ বছর কলকাতাতেই ডুরান্ড কাপের আয়োজন করতে পারে ভারতীয় সেনা। বিশ্বের পুরানো টুর্নামেন্টকে জনপ্রিয় করতেই ২০১৯ সালে দিল্লি থেকে কলকাতায় ডুরান্ড করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ১৩০ বছরের এই প্রাচীন ডুরান্ডে প্রাণ ফেরাতে কলকাতা শহরকেই বেছে নিয়েছে ভারতীয় সেনা। এ বারও যুবভারতী, মোহনবাগান ও কল্যাণী স্টেডিয়ামে হতে চলেছে ১৬ দলের এই টুর্নামেন্ট। যুবভারতীতে ১৪টি, মোহনবাগান মাঠে ৯ টি এবং কল্যাণীতে ৮ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ফিটনেস ভালো রাখতে দুরান্ড কাপ শুরু করেছিল2 ব্রিটিশরা।১৮৮৮সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের নাম রাখা হয়েছিল তৎকালীন ভারতের বিদেশ সচিব মার্টিনার দুরার্ন্ডের নামানুসারে।এই টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুসারে জয়ী দল তিনটি ট্রফি প্রায়।সেগুলো হল প্রেসিডেন্টস কাপ,দুরান্ড কাপ,সিমলা ট্রফি।সঙ্গে থাকছে আর্থিক পুরস্কার।
মোট ১৬ টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এক নজরে দেখে নিন টুর্নামেন্টের চারটি গ্রুপ
‘এ’ গ্রুপ -এয়ার ফোর্স ফুটবল টিম, মহমেডান স্পোর্টিং, সিআরপিএফ, এফসি বেঙ্গালুরু ইউনাইটেড
‘বি’ গ্রুপ – জামশেদপুর ফুটবল ক্লাব, সুদেবা দিল্লি ফুটবল ক্লাব, আর্মি গ্রিন ফুটবল টিম
‘সি’ গ্রুপ – দিল্লি ফুটবল ক্লাব, ইন্ডিয়ান নেভি ফুটবল টিম, বেঙ্গালুরু ফুটবল ক্লাব, কেরালা ব্লাস্টার্স
‘ডি’ গ্রুপ – অসম রাইফেলস ফুটবল টিম, আর্মি রেড ফুটবল টিম, হায়দরাবাদ ফুটবল ক্লাব। গোকুলম কেরালা ফুটবল ক্লাব
ছবি: বিশ্বজিত সাহা