কলকাতা, ১০ জুন ২০২১: বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী সাব্বির নাসির ও কলকাতার ‘সা রে গা মা পা’ খ্যাত গায়িকা শম্পা বিশ্বাসের ডুয়েট ‘বিনোদিনী রাই’ ডিজিটাল দুনিয়ায় এক কোটির বেশী ঘরে প্রবেশ করলো। উত্তর বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বের সিলেট জেলার ধামাইল আঙ্গিকে গাওয়া ‘বিনোদিনী রাই’ গত ১১ এপ্রিল প্রকাশ পাওয়ার মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই ইউটিউব, ফেসবুক, ইস্টাগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় এর দর্শকের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি। সাম্প্রতিককালে কোনও বাংলা গানের ক্ষেত্রে এটা দেখা যায়নি। গানটির কথা ও সুরের বিন্যাস করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী প্লাবন কোরেশী। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এর ধাক্কা থেকে যখন সমস্ত বিশ্ব তথা ভারত ও বাংলাদেশ ধীর গতিতে সেরে উঠছে তখন এই বিষন্নতার পরিবেশে দুই বাংলার বহু মানুষের হৃদয় ছুয়েঁ গিয়েছে ‘বিনোদিনী রাই’।
১৯৯৮-এ মেটামরফসিস নামের একটি ব্যান্ডের ভোকালিস্ট হিসেবে বাংলাদেশের গানের জগতে এসেছিলেন সাব্বির নাসির। গিটারিস্ট হিসেবে দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা শিল্পীর সঙ্গে কাজও করেছিলেন। বাংলাদেশে কর্পোরেট দুনিয়ার এক স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব সাব্বির নাসির কিছুদিনের বিরতির পর আবার ফিরে আসেন গানের জগতে। তাঁর ‘তুমি যদি বলো’ গানটি বিশেষ জনপ্রিয়তা পায় বাংলাদেশে। গতবছর প্রকাশিত তাঁর কয়েকটি গান ‘ফুল ফোটাবো’, ‘ফাগুন আসছে’, ‘জল জোছনা’ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কলকাতার শিল্পী শম্পা বিশ্বাসের মতে, ‘বিনোদিনী রাই’ আসলে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের আর একটি নিদর্শন। শম্পা বিশ্বাস বলেন, “যখন প্লাবন কোরেশী ভাইকে চিনতাম না, তখনও তাঁর সুরে আমি “ইন্দুবালা” গেয়েছি এবং সেটি বাংলাদেশের শ্রোতারা খুবই পছন্দ করেছিলেন। আর এবার সাব্বির ভাইয়ের আহবানে এই কোভিড পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশে গিয়ে আমি এই অসাধারণ গানটির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত।”
সাব্বির নাসির জানান, “আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে দুই বাংলার মানুষের কাছে বিনোদিনী রাই এতটা প্রশংসা পেয়েছে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি গানটির নিজস্বতা বজায় রাখার। আর এই গানের সাফল্য প্রমাণ করে যে এই বিপন্ন পরিবেশেও একটা ভালো গান মানুষকে কতটা আনন্দ দিতে পারে। আমার সকল শ্রোতাবন্ধুদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”