ছোট থেকে তাঁর গান শেখার ইচ্ছে ছিলো,কিন্তু অর্থের অভাবে তিনি গান শিখতে পারেননি তাই পরবর্তীকালে যাতে যাদের গান শেখার ইচ্ছা আছে কিন্তু উপায় নেই তাদের যাতে শিখতে কষ্ট না পায় তার জন্য তিনি গড়ে তুললেন ‘আলাপ’।তিনি প্রশান্ত ধাড়া।
হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা প্রশান্ত ধাড়ার ছোটবেলা খুব কষ্ট করে কেটেছে।গ্রামের বাড়ির পাশেই ছিলেন টপ্পা গায়ক গোপাল ভট্টাচার্য।যখন গোপাল ভট্টাচার্য গান করতেন সেই ছোট্ট ছেলেটি ছুটে যেতেন বাড়ির পাশে গান শুনতে আর গান শুনতে শুনতেই সেই ছেলেটি সেই গানগুলো গাইতে শুরু করতেন।
এইভাবেই তাঁর গান শেখা শুরু।এরপর তিনি চলে আসেন হাওড়ায় বাবার কাছে।ছেলেটি থাকতে শুরু করলেন হাওড়া শহরে।পড়াশুনার পাশাপাশি প্রচুর গান শুনতেন।স্নাতক হওয়ার পর তিনি শুরু করেন নিজের ব্যবসা।ভাগ্যের চাকা তার ঘুরে গেল।অর্থ যখন আসতে শুরু করলো তিনি তখন তার ছোটবেলার স্বপ্নকে সার্থক করতে চাইলেন।
তিনি গান শিখতে চাইলেও অর্থের অভাবে শিখতে পারেননি,তাই ২০১৪ সালে গড়ে তুললেন ‘আলাপ’।৪জনকে নিয়ে শুরু করা ‘আলাপ’-এ আজ সদস্য সংখ্যা ৩৪জন।শুক্রবার হলেই হাওড়ার ইছাপুরের এইচ.আর.বি.সি.হাউসিং কমপ্লেক্সের রুম ১-এ বিকেল থেকেই বসে যায় গানের আসর।এখানে গানের ট্রেনিং জন্য কোনো সাম্মানিক লাগে না।
‘আলাপ’-এর প্রাণপুরুষ প্রশান্ত বাবু জানালেন,”আমি চাই ‘আলাপ’ শুধু হাওড়া নয় আরো বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ুক।আমার পরও কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ‘আলাপ’-এর হাত ধরুক।আমি ‘আলাপ’-এর জন্য একটা ফান্ডিংও রেখে যাবো।”
প্রশান্ত ধাড়ার উদ্যোগে সম্প্রতি আলাপ-এর সদস্যদের নিয়ে গানের অ্যালবাম ‘নানা রঙের গান’ প্রকাশিত হয়েছে ।আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবে একঝাঁক বিশিষ্ট গুণীজন উপস্থিত হয়ে প্রত্যেকে এই গান পাগল মানুষটিকে ভূয়সী প্রশংসা করলেন।