নিজস্ব প্রতিনিধি:বাসন্তী পুজোর আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে কুমোরটুলির মহিলা মৃত্শিল্পী চায়না পালের স্টুডিওতে হয়ে গেল খুকুমণির এক বিশেষ অনুষ্ঠান।খুকুমণি নামটা শুনলেই মনে হয় এমন কেউ যার বয়স বেশ কম।কিন্তু প্রদীপ ক্যামিকেলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এর “খুকুমণি” আলতা,সিঁদুর গত পঞ্চাশ বছর ধরে বাঙালির ঘরে,ঘরে সমাদৃত।বাঙালির যে কোনো শুভ অনুষ্ঠান হোক খুকুমণি এর সিঁদুর,আলতা এখন কিংবদন্তি।পরম্পরা যেমন আছে,তেমনই আছে নতুন প্রজন্মকে ছোঁওয়ার তাগিদ।দিনটা ছিল ঠাকুর রামকৃষ্ণের জন্ম তিথি।অনুষ্ঠান শুরু হল খন্ডন ভব আরাত্রিক দিয়ে।দুর্গা মূর্তির সামনে যিনি দুর্গা গড়েছেন সেই চায়না পালকে সম্মান জানানো হলো।অরিত্র রায় চৌধুরী (ডিরেক্টর,খুকুমণি), রূপক সাহা( কর্ণধার, শ্যাম সুন্দর কোম্পানি জুয়েলার্স) তুলে দিলেন সম্মানের উপহার। এই মাস মহিলা দিবস থাকায় জীবনের লড়াই করে এই মৃত্শিল্পকে যে ভাবে চায়না পাল ধরে রেখেছেন তাকেই কুর্নিশ জানানো হল।সব শেষে মায়ের কপালে নতুন লিকুইড সিঁদুর পরিয়ে দেন চায়না পাল।ছিল ঢাকির বাজনা,ধুনচি নাচ।এক মহিলা মৃত্শিল্পীর এই অভিনব সম্মান কুমোরটুলির শিল্পীদের কাছে এক মন ছোঁওয়া আবেককে উস্কে দিল।যারা ঠাকুর গড়েন তাঁরা অন্ধকারেই থেকে যান।এ এক অনন্য সম্মান,নিজের গড়া প্রতিমার সামনে সম্মানিত হয়ে আপ্লুত শিল্পী চায়না পাল।