নিজস্ব প্রতিনিধি: কল্যাণী উপনগরীর পত্তনকার ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনকে সম্মান জানিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল বিধানচন্দ্রের জন্মদিন। বিধানচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে মালা দিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানসকুমার সান্যাল। তিনি জানালেন, ‘শুধু কল্যাণীর রূপকারই নন, ডা. বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রূপকার। ডাক্তারির পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রিত্বও। ল্যাবে রক্ত বা আনুষঙ্গিক টেস্ট নয়, মানুষের মুখ দেখে বা টেলিফোনে মানুষের গলার স্বর শুনে রোগনির্ণয় করে দিতেন বিধানচন্দ্র। বর্তমানে কোভিড ১৯- এর মতো যেসব মারণ রোগের উদ্ভব হচ্ছে, বেঁচে থাকলে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি সেগুলোকে সহজেই মোকাবিলা করতে পারত।’ আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন নিবন্ধক অধ্যাপক দেবাংশু রায়-সহ একাধিক অধ্যাপক, আধিকারিক ও শিক্ষাকর্মীরা।
ডাক্তারি শাস্ত্রে বিধানচন্দ্রের বিধান যে নতুন দিশা এনেছিল সেকথা এখনও মনে রেখেছে কল্যাণীর মানুষেরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অনলাইনে আজকের মাস্টার্স ডিগ্রির যাবতীয় পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, কল্যাণীর অনেক জায়গাতেই যেমন-কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ, কল্যাণী পুরসভা, কল্যাণী সেন্ট্রাল পার্ক ইত্যাদিতে পালিত হল বিধান স্মরণ।