গোপাল দেবনাথ:কলকাতা অঙ্গীকার তার সীমিত ক্ষমতা নিয়ে এই শারদ উৎসবে অন্তত কিছু মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য যে অন্ন-বস্ত্রের এক আগাম পরিকল্পনা করে ছিল আজ শুভ সপ্তমীতে এসে বলা যায় যে সকল শুভাকাঙ্খীর সহযোগিতায় সেই পরিকল্পনার বাস্তব রূপায়নে কলকাতা অঙ্গীকার মোটামুটি সফল।
কলকাতা অঙ্গীকার তার পূর্বপরিকল্পনা মত – ১) বারুইপুরের অনাথ আশ্রমের সমস্ত আবাসিকদের জন্য, ২) বাগবাজারের সারদা বিদ্যালয়ের সমস্ত শিশুদের জন্য, ৩) মূর্শিদাবাদের সহজপাঠ বিদ্যালয়ের সমস্ত শিশুদের জন্য, ৪) বাঁকুড়ার বর্ণপরিচয় বিদ্যালয়ের সমস্ত শিশুদের জন্য, ৫) বীরভূমের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপিঠের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর জন্য, ৬) জয়নগরের বিবেক সেবানিকেতনের সমস্ত আবাসিকদের জন্য ইতিমধ্যেই নতুন জামা-কাপড় পৌছে দিতে পেরেছে। শুধু শিশুদের জন্যই নয়, বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের দ্বিশতাধিক গরীব বৃদ্ধবৃদ্ধার জন্য পরনের কাপড়ের বন্দোবস্ত করতেও সমর্থ হয়েছে। আর এই সবের মধ্যে হঠাৎ করে এসে পরা বন্যায়, মেদিনীপুরের বন্যাদূর্গত মানুষজনের জন্যও এপর্যন্ত দুবার তার সীমিত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হয়েছে।
শুভ চতূর্থী থেকে শুরু হয়েছে এই পরিকল্পনার দ্বিতীয় ভাগের রূপায়ন। শুভ চতূর্থীতে বাঁকুড়ার কালিদাসপুর গ্রামে সমস্ত শিশুদের সঙ্গে বহু বৃদ্ধবৃদ্ধার জন্যও আহারের আয়োজন করা হয়েছিল। শুভ পঞ্চমীতে বাগনানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সঙ্কল্পের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় সেখানকার ইটভাটার প্রায় ১০০ টি শিশুর হাতে কিছু খাবার আর নতুন জামা তুলে দেওয়া হয়েছে। শুভ ষষ্ঠীতে বাগবাজারের সারদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর জন্য ছিল কলকাতার কিছু প্রতিমা দর্শনের সঙ্গে দুপুরে আহারের ব্যবস্থা।
শুভ সপ্তমীতে বীরভূমের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপিঠের সমস্ত ছাত্রছাত্রীর জন্য ছিল দুপুরে দারুন আহারের আয়োজন। পুজোর বাকি দিনগুলিও আশা করা যায় এমনই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনামত সুন্দর ভাবেই কাটবে।
কলকাতা অঙ্গীকার তার সকল শুভাকাঙ্খীর কাছে কৃতজ্ঞ। একমাত্র তাদের আর্থিক-সাহায্য দান এবং নৈতিক সমর্থনই কলকাতা অঙ্গীকারকে তার পরিকল্পনার বাস্তব রূপায়নে অনুপ্রাণিত করেছে। কলকাতা অঙ্গীকার বিশ্বাস করে যে আপনাদের সাহায্য ছাড়া তার কোন স্বপ্নই সার্থক হবে না।
গৌরব চট্টোপাধ্যায়-সম্পাদক
অমরেশ রায় চৌধুরী-সহ সম্পাদক
কলকাতা অঙ্গীকারের সমস্ত সদস্যবৃন্দ