কলকাতা,নিজেস্ব প্রতিনিধি:রবিবার মুক্তমঞ্চের কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত হল এক পথসভা। বিশ্ব বাংলা গেটের সামনে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় পরিচালক তথা ইভেন্ট অর্গানাইজার নারায়ণ রায়, সুব্রত দেবনাথ, শ্রী পার্থ , মলয়, বাবুয়া, রাজসাগর, সুরঞ্জন সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
করোনা আবহকে সঙ্গে করে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে বাংলা। আর সেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে আগামী ১ অক্টোবর থেকে শর্ত মেনে সিনেমা হল, যাত্রা, মুক্তমঞ্চ ,মিউজিক, নৃত্য, আবৃত্তি ও ম্যাজিক শো সহ রাজ্যের সমস্ত বিনোদন মঞ্চ
খুলে দেওয়ার কথা টুইটারে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এক্ষেত্রে আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে সর্বাধিক ৫০ জন এবং তার কম অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে। এভাবে বিনোদনের মঞ্চ খোলার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে নানান মহল থেকে উঠছে প্রশ্ন !
এদিন উক্ত পথসভা সম্পর্কে শ্রী নারায়ণ রায় জানান, ” ১অক্টোবর থেকে আমাদের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন সেজন্য প্রথমেই আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আগামী মাস থেকে তিনি সমস্ত বিনোদন মঞ্চে ৫০জন এবং তার থেকে কম জনকে নিয়ে অনুষ্ঠানের যে ছাড়পত্র দিয়েছেন সেক্ষেত্রে রয়ে যাচ্ছে কিছু সমস্যা। কারণ এ ধরণের অনুষ্ঠান করতে হলে সেই জায়গার পরিপেক্ষিতে লোকসংখ্যা নির্ধারণ করতে হয়। যেমন উদাহরণ স্বরূপ যদি সাইন্সসিটি অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠান করতে গেলে দেখা যাবে সেখানে দর্শক আসনসংখ্যা ২২০০জন। তাহলে সেই সংখ্যা অর্ধেক করা হলেও সেক্ষেত্রে দাঁড়ায় ১১০০-১২০০ জন। ফলে ৫০জনকে নিয়ে একটা ইভেন্ট করা কখনোই সম্ভব নয়।”
এদিন তিনি আরো জানান, “ব্যক্তিগত কারণে
আমি ২৮শে মে বিমানে করে কলকাতা থেকে হায়দ্রাবাদ গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম বিমানের সব আসনই ছিল পরিপূর্ণ। শুধুতাই নয় সেখানে কোনরকম সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং-এর চিহ্ন মাত্র নেই। তাহলে আমাদের ক্ষেত্রেই বা কেন এত সমস্যা ! তাই আমরা সকলে মিলে ঠিক করেছি আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দেব। একইসাথে আমাদের মুক্তমঞ্চে যারা কাজ করেন তাদের দুর্দশার কথা জানাবো। দীর্ঘদিন এসব বন্ধ থাকার ফলে সংসার চালানোর জন্য আজ তারা অনেকেই কেউ ফল বিক্রি করে, কেউ বা স্যানিটাইজার,আবার কেউ টোটো চালিয়ে কোনরকমে দিন কাটাচ্ছে। তাদের একটাই অনুরোধ ফের স্বাভাবিক হোক সেই পুরোনো পেশা।”
এদিন এই পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আর্টিস্ট,
ইভেন্ট অর্গানাইজার,নৃত্যশিল্পী,ডেকোরেটর,
সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ,বাচিক শিল্পী সহ প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন কলাকুশলীরা।