Close

ওডিসি ড্যান্সার্স ফোরাম উপস্থাপন করেছে ‘পরম্পরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রতি বছরের মতো এবারও কলকাতার ওডিসি ড্যান্সার্স ফোরাম উপস্থাপন করেছে ‘পরম্পরা। একটি ওড়িশি নৃত্য উৎসব যা তরুণদের ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের জগতে একটি প্রস্থ ও উজ্জ্বল প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। এটি ১৭ই মে, ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কলকাতার সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে (ICCR)। সভাপতি শ্রী সুদীপ শ্রীমল, সচিব শ্রীমতি অরুন্ধতী রায় এবং সহকারী সম্পাদক শ্রী রাজীব ভট্টাচার্যের প্রধান ভূমিকায় এই অনুষ্ঠানটি সফল হয়। শ্রীমতি পলি গুহ এবং শ্রীমতি চৈতালী দাশগুপ্ত এই সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন পরিচিত শিল্পী শ্রীমতী উর্মিলা ভৌমিক। অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশন করে বিশুদ্ধ নৃত্য বা নৃত্ত এবং স্বভিনয়-নৃত্য। যারা তাদের শ্রেষ্ঠ উপস্থাপনা এই অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেছে, সেই সকল অংশগ্রহণকারীরা গুরু রতিকান্ত মহাপাত্র, প্রয়াত গুরু গিরিধারী নায়েক, শ্রীমতি কাকলী ঘোষ, শ্রী শিব নারায়ণ ব্যানার্জী, শ্রী সুবিকাশ মুখোপাধ্যায়, শ্রীমতি সুচিস্মিতা কাঞ্জিলাল, শ্রীমতি রজনীতা ব্যানার্জি, শ্রীমতি সুজাতা নায়েক ও শ্রীমতি সঞ্জুক্তা রায় ঘোষালের শিষ্য এবং শিষ্যা। শ্রীমতি শরণ্যা শেঠ রাগ সাভেরি এবং একতালির উপর ভিত্তি করে ‘সাভেরি পল্লবী’ উপস্থাপন করেছিলেন প্রথম বিভাগে এবং পরের বিভাগে অনবদ্য ভাবে পরিবেশন করেন ‘বসন্তিকা। মাম্পি দাস ‘যুগ্মদ্বন্দ পল্লবী’ এবং গুরু শ্রী কেলুচরণ মহাপাত্রর মাস্টারপিস ‘আহে নীলা শৈলা’ পরিবেশন করে সমৃদ্ধ করেছেন এই সন্ধ্যা। শ্রীময়ী দাস রাগ পত্তদ্বীপের উপর ভিত্তি করে ‘পত্তদ্বীপ পল্লবী’ এবং ‘শিব পঞ্চমুখ স্তোত্রম ‘ উপস্থাপন করেন। সৃজনী সেন তার চারুতা এবং নিখুঁত ভঙ্গি প্রদর্শন করেছেন ‘দেশ পল্লবী’ এবং ‘জয় মহেশ’-এর মাধ্যমে। সন্ধ্যার একমাত্র পুরুষ নৃত্যশিল্পী তমাল দাস গুরু রতিকান্ত মহাপাত্রের পরিচালনা করা ‘দুর্গাবন্দনা’ এবং ‘মেঘ পল্লবী’-তে চমৎকার অভিনয় করেছেন। সুকন্যা ব্যানার্জি, ভাগ্যশ্রী মোদক, অয়ন্তিকা মোদক, সম্প্রীতি দাশগুপ্ত পাত্রও তাদের উপস্থাপনা একে একে পরিবেশন করে এই সন্ধ্যাকে আনন্দময় করে তুলেছেন। এই উৎসবটি তরুণ শিল্পীদের দর্শনীয় উপস্থাপনার সাক্ষী হয় এবং শিল্পীরা তাদের নৃত্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিকে আধ্যাত্মিকতা এবং শান্ততায় পূর্ণ করে তোলে। তবে ফোরামের নিয়মানুযায়ী একজনই বিজয়ী হবেন। বিজয়ী প্রার্থী বাছাইয়ের এই সিদ্ধান্ত শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনার প্রতিভার উপর ভিত্তি করে মাননীয় বিচারকদের দ্বারা নেওয়া হবে। এই তরুণ নৃত্যশিল্পীরাই এখন হয়ে উঠবে এই প্রসিদ্ধির মশাল বহনকারী। তাদের মাধ্যমেই ওড়িশি নৃত্যের প্রাচীন ঐতিহ্য প্রবাহিত হবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top