নিজস্ব প্রতিনিধি:রঙ্গকর্মী স্টুডিও থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব ঊষা গাঙ্গুলী কে উৎসর্গ করে উদ্বোধন নব নির্মিত ঊষা গাঙ্গুলি মঞ্চের। এই অত্যাধুনিক ও সুসজ্জিত নতুন গ্যালারি স্টুডিওর উদ্বোধন হতে চলেছে ১৯ ডিসেম্বর, বিকেল ৫ টায়। স্থান: রঙ্গকর্মী, ৬১ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, কলকাতা – ৭০০০৩৩ (নবীনা সিনেমার সন্নিকটে)।
এই মঞ্চ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, রঙ্গকর্মীর নতুন কার্যনির্বাহী দলের সদস্য হীরকেন্দু গাঙ্গুলি (সভাপতি), তৃপ্তি মিত্র (পরিচালক), অনিরুদ্ধ সরকার (সম্পাদক), সোহাগ সেন সহ অন্যান্য সম্মানীয় অতিথিরা।
রঙ্গকর্মীর পুরোধা ঊষা গাঙ্গুলি এবং প্রধান কার্য নির্বাহী প্রশাসক রাজেশ পান্ডের আকস্মিক মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই দলে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামীতে রঙ্গকর্মীর বর্তমান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা বিষয়ে কথা বলবেন নব নির্মিত কার্য নির্বাহী দলের সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
সম্মানিত সংবাদ মাধ্যম, রেডিও, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে আন্তরিক অনুরোধ, উষা গাঙ্গুলি মঞ্চ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য।
স্টুডিও থিয়েটার
উষা গাঙ্গুলি মঞ্চের নকশা এবং রূপদান করেছেন আইআইটি-খড়গপুরের স্থপতি অমিতাভ ঘোষ। ভাবনায় অনিরুদ্ধ সরকার। এই নতুন থিয়েটার পারফর্মিং স্থানটির আয়তন ২০’x১৮’। এই গ্যালারিতে ৭০ জন দর্শক বসে নাটক দেখতে পারবেন।
এই সুসজ্জিত শিল্প সম্মত ভাবে তৈরি মঞ্চের চারপাশে রয়েছে উন্নত মানের সাউন্ড সিস্টেম এবং প্রযোজনার গুণমান বাড়ানোর জন্য, নাট্যকর্মীদের সুবিদার্থে এবং সর্বোপরি দর্শকদের ভালো অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য সর্বাধিক ৫০ টি আলো প্রক্ষেপনের সুব্যবস্থা। রঙ্গকর্মীর এই নব নির্মিত থিয়েটার মঞ্চটি দেখতে একটা আখড়া বা গ্যালারির মতো। এখানে খুব ভালো ভাবে বসে নাটক দেখার সুব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এই নাট্য আখড়ায় বিদ্যমান বিনোদিনী কেয়া মঞ্চের পারফরম্যান্স স্পেসের আয়তন ২৫ + ১৫’। সঙ্গে রয়েছে ৭০ জন লোক ধারণ ক্ষমতা। স্টুডিও থিয়েটারে উপলভ্য অন্যান্য সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে একটি সুসজ্জিত লাইব্রেরি, আলো ও সাউন্ড অপারেশনের ক্ষেত্র, মাইক্রোফোনস, প্রক্ষেপণ অঞ্চল, পুরুষ ও মহিলা শিল্পীদের জন্য পৃথক গ্রিন রুম, ফটোশুটের ব্যাকড্রপস এবং রিফ্রেশমেন্টের জন্য আর (‘R’) ক্যাফে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা
রঙ্গকর্মী বিদ্যমান থিয়েটার এবং অভিনয় কর্মশালা ছাড়াও সংগীত, নৃত্য, যোগব্যায়াম সহ বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রস্তাব করেছে। রঙ্গকর্মী শিল্প ও সংস্কৃতির এই সমস্ত নানা দিকে নজর দেবে এবং এই সংক্রান্ত কাজে উৎসাহ প্রদান করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গ্রামীণ এবং স্বল্প-পরিচিত অঞ্চল থেকে আগত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগুলি যারা তেমন ভাবে প্রচারের আলো পায়না বা তার থেকে বঞ্চিত, তাদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ভারতের নানা প্রান্তের এমনই প্রান্তিক অথচ সাংস্কৃতিক প্রতিভা সম্পন্ন শিল্পীর অন্বেষণ প্রচার এবং তাদেরকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার চেষ্টা করবে রঙ্গকর্মী। এছাড়াও যে সমস্ত মানুষেরা ধারাবাহিকভাবে শিল্প সংস্কৃতির চর্চা করে চলেছে তাদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থাও করবে রঙ্গকর্মী।