নিজস্ব প্রতিনিধি:তালওয়ার টকস কলকাতার গল্প শোনায়।নানা জানা জায়গার কিছু অজানা দিক ছোটো পরিসরে তুলে ধরেন এর স্রষ্টা ও উপস্থাপক অরুন তালওয়ার। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আকর্ষণীয় গল্পের খোঁজ নিয়ে আসছেন লাইভ ভিডিও এবং আকর্ষণীয় পরিবেশনার মাধ্যমে যা এই জার্নিকে স্মরণীয় করে তুলছে।
কলকাতার অন্যতম হেরিটেজ সাইট নাখোদা মসজিদের এই বিশেষ পর্ব আজ এই ঈদের দিন তালওয়ার টকসের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক পেজে মুক্তি পেল। এই জার্নি কেবল এই অঞ্চলটিকে হাইলাইট করেনি সামগ্রিক ভাবে এই ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিসৌধের আশেপাশের জীবনধারাও তুলে ধরেছে যেমন এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এবং তাদের উপার্জন, কর্মসংস্থানের মতো নানা বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে নাখোদা মসজিদ একবার ফিরে দেখার গল্প উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে শহরের প্রাচীনতম অঞ্চল চিতপুরের নস্টালজিয়াকে উস্কে দিয়েছে এই ভিডিও। বেশিরভাগ কলকাতাবাসী চিত্রপুর এই নামটা বললেই বুঝে যান সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত মুঘলাই রান্না,আতরের সুবাস,সুরমার দোকান, জামা কাপড়ের পসরা এই অঞ্চলের সারাংশটি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেয়। এই ওয়েব সিরিজ শেহের-ই-কলকাতার বর্তমান পর্বে উপস্থাপিত হয়েছে। রমজানের সময় চিতপুরের রাস্তায় আলোকসজ্জা,উৎসব উদযাপন সব মিলিয়ে শহরের অনেকেরই গন্তব্য হয়ে ওঠে।
তালওয়ার টকসের মাধ্যমে অতীতের এই সব ঐতিহ্যবাহী স্হানের সাথে পরিচিত হওয়া,তার স্থাপত্য, রক্ষনাবেক্খন,তার সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষজনের সঙ্গে আলাপ হওয়া,আশেপাশের মানুষগুলোকে বোঝা সব মিলিয়ে একটা ছবি ফুটে ওঠে।এই পর্বে অরুণের সঙ্গে জাহিদ আহমেদের (ট্রাস্টি,কাচ্চি মেমন জামাত )
সাক্ষাতে অনেক কিছুই জানা গেল। তিনি তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তিনি আল্লার ভক্তিতে এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণে বাকি জীবন উৎসরগ করেছেন,আশপাশের দোকান থেকে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় করবেন যাতে এটি ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য থেকে যায়। প্রার্থনার পাশাপাশি, ইতিহাসের সাক্ষী ও এক অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য চিতপুরের অন্যতম অহংকার হিসেবে যাতে থেকে যায়।