✍️শ্রেয়া সাহা
আজ বাঙালি শিশু সাহিত্যিক ননীগোপাল চক্রবর্তী-এর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের ১১আগস্ট প্রয়াত হন তিনি।
বাঙালি শিশু সাহিত্যিক ননীগোপাল চক্রবর্তীর জন্ম অধুনা বাংলাদেশের যশোহর জেলার আড়কান্দি গ্রামে। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি যশোহরের নড়াইলের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই.এ পাশ করে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কৃষ্ণনগরে চলে আসেন। সেখান থেকে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পাশ করেন কৃষ্ণনগর কলেজ থেকে।
আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। তবে এখনও আমাদের মাঝে আছে তাঁর সাহিত্যকর্মের অনেক সম্পাদনা। ননীগোপাল চক্রবর্তী ছোটোদের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘শিশুসাথী’, ‘মৌচাক’, ‘রামধনু’ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন, এমনকি হাস্যরসের বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সচিত্র ভারত’ এ তাঁর অনেক হাসির গল্প প্রকাশিত হয়েছে। কৃষ্ণনগর থেকে প্রকাশিত ‘হোমশিখা’ মাসিক সাহিত্য পত্রিকায় তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। কৃষ্ণনগর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রিকা ‘নদীয়ার মানুষ’ এ তিনি দীর্ঘদিন সম্পাদনাও করেন।
বহু গল্প লিখেছেন তিনি, তবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অ্যাডভেঞ্চার, ভ্রমণকাহিনী।
এমনকি বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা-সহ অনুবাদেও পারদর্শী ছিলেন তিনি। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর লেখা শিশুপাঠ্য গ্রন্থ ‘শিকারী শশী ও লাঠিয়াল রামরতন’ প্রকাশিত হয়।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলি হল ‘পার্কিং বুড়ো’,
‘চরকাবুড়ি’,’আকাশগঙ্গা’, ‘হাবুল চন্দোর’, ‘আমার বন্ধু ভাস্কর’, ‘দুচোখ যে দিকে যায়’, ‘বাদলা দিনের গল্প’, ‘ফুড়ুৎ গুড়গুড়ি’, ‘দুর্গমপথের যাত্রী’ সহ প্রভৃতি।
বিজ্ঞান বিষয়ক ছোটোদের রচনা ‘আমাদের কীটপতঙ্গ’ গ্রন্থের জন্য রাষ্টীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এমনকি শিশুসাহিত্য পরিষদ তাঁকে “ভুবনেশ্বরী পদক” দিয়ে সম্মানিত করেন।