মাইদুল ইসলাম মন্ডল:বছর দুয়েক আগে পুত্রবধূকে হাসপাতাল থেকে বলা হয় যে তার যমজ সন্তান জন্মের সমযে় মারা গেছে।এই খবর শুনে খুব কষ্ট পান তিনিও।এর পর মানসিকতাকে দৃঢ় করে তিনি মানব সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করলেন।সংসারী হয়েও সর্বত্যাগী মানুষটি ঘরে ঘরে ঘুরে একরকম ভিক্ষে করে তৈরী করলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।সঙ্গে সহধর্মীনি আল্পনা সহ আরো ৬-৭ জন সম মনস্ক মানুষ।শুরু হল পথচলা।স্থানীয় মানুষদের জন্য হাসপাতালে দিন রাত যাপন,ঔষধ পথ্য জোগাড় করা, দূঃস্হ ছাত্রদের পড়াশুনার প্রয়োজনীয় জিনিস বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। এই ভাবেই চলছিল, মার্চ মাসের শেষে লকডাউন ঘোষণায় তিনি এবার দ্রুত গতিতে শুরু করলেন খাদ্য সামগ্রী ও মাক্স বিতরণ। স্বেচ্ছাসেবার মধ্য দিয়ে নিজ ভূমির পাশাপাশি সেবাদহন বিস্তার করে। আজ করোনা মহামারী যুদ্ধে শামিল এ যেন অন্য আরেক যোদ্ধা। তিনি সত্যজিৎ ব্যানার্জি ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ হাওড়ায় বালিতে বস কাটি আনন্দনগর নিশিন্দায় শুভজিৎ সরকার,সঞ্চিতা কয়রাল,সোনালী সরকার,এবং পুত্র অভিশেক সহ ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবী কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তার তৈরি আনন্দনগর চক্রপাণি চ্যরিটেবল ট্রাস্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, হাওড়া,হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ব্যারাকপুর, সোদপুর, বেলঘড়িয়া,কলকাতা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঘরে ঘরে, পল্লীতে, ক্লাব ও সংগঠনের স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করেছেন।এই স্যানিটাইজেশনে থাকতে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি দুটি গাড়ি।বডি স্যানিটাইজ,হোম স্যানিটাইজ,থার্মাল স্ক্যানার, পিপি কীট, করোনা টেস্ট এর যাবতীয় সরঞ্জাম, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে আনন্দনগর চক্রপাণি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দিচ্ছে। আজ পর্যন্ত ৯৭০ স্থানে এই বিশেষ স্যানিটাইজ কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে এই সংস্থা সম্প্রতি হাওড়ার অনুষ্ঠিত কিশোর কুমারের জন্মদিবসে রাজ্যর ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তর এর প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার কাছ থেকে বিশেষ প্রশংসিত হয়েছেন। সকলের প্রয়োজনে ও আহ্বনে সারা দিয়ে আগামীতেও এই স্যানিটাইজ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের প্রধান তথা করোনা যোদ্ধা সত্যজিৎ ব্যানার্জি। আগামীতে ডেঙ্গি নির্মূলে কাজ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি।