Close

গর্ভবতী প্রাণীকে হত্যা, নৃশংসতার বীজ বপনে দায়ী কারা

পৃথা ঘোষ: থপর থপর চললো হাতি,মাথায় দিয়ে সোনার জাতি।হাতি শূঁড় দিয়ে খায়,হাতি মিটিমিটি চায়।হাতির কুলোর মতো কান,হাতির লেজটি ধরে টান।”এমন বহু মজার ছড়া কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। মজার ছলে ঘাড় নেড়ে নেড়ে আমাদের শৈশব কেটেছে। কিন্তু নিছক ছেলেমানুষির বসে লেজ টানাটানি করতে করতে কখন যেন আমরা অজান্তেই দানব হয়ে উঠেছি।যে শৈশব ‘হাতি মেরে সাথি’,’দামু’ র মত সিনেমা দেখে সহজেই আবেগপ্রবণ হয়ে যেত, তারা হঠাৎ এমন নৃশংস হয়ে উঠল কেন? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ।আমরাই এর বাহক নইতো।একবার ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন। জঙ্গলে হাতি সাফারি করতে গিয়ে অথবা ঘোড়ে সাওয়ারি করতে গিয়ে আমরা ঠিক কি দৃশ্যের স্বাক্ষী থাকি।যে হাতিটি নির্দ্বিধায় আমাদের আপ্যায়নের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয়, তাকে মাহুত অজস্র পেরেক লাগানো লাঠি দিয়ে আঘাত করে। কারণ একটাই সে যেন সঠিক পথে এগিয়ে যায়। আবার দেখুন ঘোড়াদের সঠিক ট্রাকে দৌড় করাতে বারবার বেতের আঘাত করা হয়।এত কিছুর পরও অবলা প্রাণগুলো নির্বিকার। কোনো প্রতিবাদ নেই।এর কোনটি মানবিক পদক্ষেপ ভেবে দেখুন একবার। কেবলমাত্র বিনোদনের জন্য অথবা নিজেদের প্রয়োজনে এমন একটা পন্থা বেছে নিতে কখনো বুক কেঁপেছে?তবে কেরলের মল্লাপুরমে আনারসের মধ্যে বাজি লাগিয়ে পশু হত্যার ঘটনা নজিরবিহীন- নিন্দনীয়। এই অবস্থায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর পিছনে যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করা হবে,আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে,ঐ এলাকায় চাষের জমিতে মাঝে মাঝেই বন্য শূকর ঢুকে পড়ে। নষ্ট করে ফসল। তাই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে গ্ৰামবাসীরা খাবারের সাথে বাজি বেঁধে শূকর তাড়ানোর টোটকা ব্যবহার করে। সম্ভবত ক্ষিদের তাড়োনায় হাতিটি ঐ ফাঁদের শিকার হয়েছে।

Leave a Reply

0 Comments
scroll to top